Shipping to EU, Switzerland
Fast, environmentally friendly shipping with DHL
Free shipping from 40€
নীল দাঁতের নামকরণ

নীল দাঁতের নামকরণ

Bengali Fiction by Danceofchaos


নাম বড়ই মজাদার একটি জিনিস। মহাকবি যতই বলুন, নামে কি যায় আসে, নাম

দিয়ে আমাদের মস্তিস্ক মানুষ বা বস্তুর শনাক্ত করণ করে। রবীন্দ্রনাথ বললে যেমন মাথা মিলিয়ে দেয় নামের সাথে কবিগুরুর ছবি, লাল রং বললে তেমন জুড়ে যায় শব্দের সাথে রং। নাম দিয়ে দুজনের মধ্যে সংযোগ তৈরী হয়, যেমন, নিউটন বললে মাধ্যাকর্ষণ।

অনেক সময় অনুপ্রেরিত নাম, মূলের থেকেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যেমন আমাজন বললে আগে বহুজাতিক বাণিজ্য সংস্থার কথা আগে মাথায় আসে, তারপর আসে দক্ষিণ আমেরিকার ঘন জঙ্গলের কথা। তাকে আবার পৃথিবীর ফুসফুস বলেও চিনি।   ব্যবসা বা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নামের সাথে পরিচিতির বিশাল সংযোগ। তেমনি এক বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তির নাম নিয়ে এই গল্প আজ। বিষয় নীল দাঁত।

নীল দাঁত বলতে আমি ব্লুটুথ প্রযুক্তির কথা বলছি।

যারা বর্তমানে বুদ্ধিমান, চলমান দূরভাষ, অথবা ‘স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাঁরা কমবেশী সবাই ব্লুটুথ ব্যবহার করেন।

ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদান হয়।নির্দিষ্ট পরিধির মধ্যে একাধিক যন্ত্র ব্লুটুথের মাধ্যমে যুক্ত করা সম্ভব এবং মূহূর্তের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান করা যায়।

এহেন ব্লুটুথ তৈরী বা কিভাবে হল আর নামই বা এল কোথাথেকে?শুনুন তবে বলি।

তখন নব্বই দশকের মাঝামঝি, সদ্য মোবাইল প্রযুক্তি বাজারে এসেছে। জোরকদমে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে।তাঁদের মধ্যে এগিয়ে, সুইডেনের “এরিক্কসন”। একের পর এক নতুন জিনিস আনছেন তাঁরা। নীলস রাইডব্যাক আর তাঁর দলবল ব্যাস্ত বেতার হেডফোন বানাতে।ডাচ প্রযুক্তিবিদ, ইয়াপ হার্ডসেনও আছেন দলে। তিনি আবিষ্কার করে ফেললেন নতুন প্রযুক্তি।

আবিষ্কার তো হল, নাম কি দেওয়া যায়? অন্তত একটা ডাকনাম তো দিতেই হয়।এই নিয়ে আলোচনা চলছে, চলছে তুমুল ব্রেনস্টর্মিং।পাবে দেখা হল ইন্টেলের জিম কারদাখ আর এরিক্কসনের স্বেন ম্যাটিসসন।গল্পে গল্পে উঠে এল ডেনমার্কের রাজা, হারাল্ডের নাম। স্ক্যান্ডিনাভিয়ার বিচ্ছিন্ন দেশগুলিকে প্রথম একত্রিত করে রাজত্ব করতেন তিনি। তাঁর ডাকনাম ছিল নীলদাঁত বা ব্লুটুথ। নামের উৎপত্তি নিয়ে নানামত আছে।তাঁর নাকি নীল রঙের দাঁত ছিল।সেই নীলদাঁত রাজার নামে ডাকনাম হল, ব্লুটুথ। ডাক নাম বদলে ভাল নাম আর দেওয়া হয় নি, ডাকনাম সবার এত পছন্দ হয়ে গেল।ব্যবসাক্ষেত্রে নামের পরিচিতি বা ব্র্যান্ড রেকগনিসন তার সাফল্যর প্রধান চাবিকাঠি।ব্লুটুথের নাম পৃথিবীর নব্বই শতাংশ লোক এককথায় জানে। বর্তমানের অন্যতম সফলতম প্রযুক্তি ব্লুটুথ।

ব্লুটুথের প্রতীকেও হারাল্ডের নাম।ড্যানিস এবং প্রাচীন রুন ভাষায় ব আর হ জুড়ে (ছবিতে দেখুন)আজকের ব্লুটুথ লোগো।

হাজার বছর আগের রাজা রাজত্ব করেছিলেন, তিনি বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি, একদিন তাঁর ডাকনামে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।

Source of Information: Wikipedia and Internet

Image courtesy : Christian . This was drawn exclusively by him for using in the blog and is part of the copyright of the blog. Do not publish without permission.